ঢাকার রাত বেলা ভিন্ন রূপ নেয়। শীতল হাওয়ায় মিশে আসে শহরের শব্দের মৃদু গুঞ্জন। আমি সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে বেডরুমে ঢুকে পড়লাম। দরজা একটু খুলে দিয়ে এক কাপ চা হাতে নিয়েছিলাম, ঠিক তখনই ফোন বেজে উঠল।

“আমি আছি তুমার বাসার কাছে,” সে বলল, মৃদু স্বরে।

রাতের নিস্তব্ধতায় তার কণ্ঠ আমার কানে স্পর্শ করল এমনভাবে, যেন ছোঁয়া দিল। দরজা খুলতেই সে ঢুকল, চুপচাপ। চোখে আলো, গলায় মৃদু হাসি। আমার গায়ে একটা শিহরণ বয়ে গেল।

সে কাছে এসে আমার হাতটা ধরি।
“তুমি জানো? এই রাতটা তোমার জন্য রঙিন,” সে বলল।
আমি নীরবে শুধু হেঁটে গেলাম তার দিকে। তার নরম স্পর্শে আমার শরীরটা মৃদু জ্বলে উঠল।

আমরা কোন শব্দ বলিনি, শুধুই চোখে চোখে কথা হলো। রাতের গোপন ছোঁয়ায় ঢাকা শহর যেন থেমে গেছে। সে হাতটা বাড়িয়ে আমার গলায় অল্প আঁচড়ে দিল, আর আমি অনুভব করলাম তার নিঃশ্বাসের গরম ফোঁটা আমার গালের স্পর্শে।

রাত গড়িয়ে যায়, কিন্তু সেই নরম ছোঁয়া থেকে এখনও আমি বাঁচছি। ঢাকা শহরের ভিড়ে এক অদ্ভুত শান্তি পেলাম।