বাড়িটা নতুন। আমি এই ফ্ল্যাটে উঠেছি মাত্র এক সপ্তাহ।
দেয়ালগুলো এখনো অপরিচিত, ঘরের বাতাসে অন্য কারও ঘ্রাণ লেগে আছে।
রাত দশটার দিকে হালকা দরজায় টোকা।
— “সরি, আমি পাশের ফ্ল্যাটে থাকি… তোমার বারান্দার কাপড় আমারটায় এসে পড়েছে।”
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল একটা স্লিম গড়নের মেয়ে, হালকা গোলাপি নাইটি পরে, চুল খোলা, চোখে অবাক আর কৌতূহল।
আমি বললাম,
— “ওহ… তুমি নাও, আর যদি চাও, কিছুক্ষণ বারান্দায় দাঁড়াতে পারো, বৃষ্টি পড়বে মনে হয়।”
সে হাসল। বলল,
— “বারান্দা আর বৃষ্টি— খুব পুরোনো প্রেমের গল্পের মতো শোনাচ্ছে।”
দুজনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলাম।
সে বলল,
— “তুমি কি খুব একা?”
আমি চুপ। শুধু একবার তাকিয়ে ছিলাম তার চোখের দিকে।
সেই চোখে ভিজে হাওয়ার মতো কিছু ছিল। হয়ত পুরোনো অভিমান, হয়ত নতুন আগ্রহ।
সে হঠাৎই আমার হাত ছুঁয়ে বলল,
— “এই ফ্ল্যাটে যদি কখনো শব্দ হয়… জানবে, আমি ঠিক পাশেই আছি। শব্দটা হয়ত একা ঘুম ভাঙার নয়…”
আমার বুকের মধ্যে কেমন একটা চাপা ঢেউ উঠল।
তখন চারদিকে ছিল শুধু নীরবতা আর অন্ধকারে আমাদের দুজনার নিঃশব্দ আলাপ।