রাত তখন প্রায় ১১টা।

ক্লান্ত শরীরে ফ্লোরে হেলান দিয়ে বসে আছি, অফিস থেকে ফিরে গোসলও হয়নি।
মোবাইলে একটা মেসেজ ভেসে উঠল —
"ঘাড়ে ব্যথা নাকি? ম্যাসাজ দেব?"

প্রsender: নীলা — মেসেজে কথা হলেও দেখা হয়নি কখনো। পাশের বিল্ডিংয়ের মেয়ে, পরিচয় হয়েছিল একদিন ছাদে।

আমি মজা করে রিপ্লাই দিলাম —
"তুমি ম্যাসাজ পারো?"
সে লিখল —
"না পারলেও শিখে নিতে পারি… যদি তুমি ক্লান্ত হও!"

পাঁচ মিনিট পরে দরজায় টোকা।

দরজা খুলতেই হালকা পারফিউমের ঘ্রাণ।
নীলা, ঢিলেঢালা ট্রাউজার আর ট্যাঙ্কটপ পরা, হাতে তেল আর তোয়ালে।

সে বলল —
“আজ একটু বেশি সাহসী হলাম… কিন্তু তুমিও তো ক্লান্ত, তাই ভাবলাম…”

আমি অবাক, কিন্তু তাকে না বলতে ইচ্ছে করলো না।
সে আমার ঘাড়ে তেল ঢেলে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে লাগল। আঙ্গুলের ছোঁয়ায় যেন এক একটা শিরা আলগা হয়ে যাচ্ছিল।

হঠাৎই সে কানে কানে বলল —
"ম্যাসাজ তো শুরু… কিন্তু কোথায় থামবে, সেটা তুমি বলবে…"

আমার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে উঠল।
ঘরের বাতাস তখন নিঃশব্দ, কিন্তু উত্তপ্ত।

আমরা আর কোনো কথা বলিনি সেদিন—শুধু অনুভব করেছিলাম, একে অপরের নীরব চাওয়া।